পোস্টগুলি

ষাঁড় আর ব্যাঙ

  এক জলার ধারে এক ব্যাঙ পরিবার বাস করত । সেই ব্যাঙ পরিবারে অনেক বাচ্চা ছিল । একদিন একটি ব্যাঙের বাচ্চা জলার পাশে স্যাতসেতে মাঠে ঘুরতে গেছিল । সেই মাঠে তখন একটা ষাড় চলছিল । বিশাল যাড়টাকে দেখে বাচ্চা ব্যাঙটি প্রথমটায় একটু হকচকিয়ে গেল। পরে সাহস করে দুর থেকে তাকে ভাল করে দেখতে লাগল । আর যতই দেখতে লাগল ততোই অবাক হয়ে গেল । তারপর এক সময় সে ঘরে ফিরে এল ৷ ফিরে এসে ব্যাঙের বাচ্চাটি তার মাকে বলল, মা, মা, আজকে মাঠে আমি এক পেন্লায় জানোয়ার দেখে এলাম । সে যে কতো বড় আর কতো মোটা তা না দেখলে বিশ্বাসই হবে না তোমার । ব্যাঙ বাচ্চাটির মা তখন একটু অহঙ্কারের স্বরে বলল-ওমা, কী বললি? সে আমার চেয়েও বড়? বাচ্চাটি একটু ব্যঙ্গ করে বলল- আরে, কি বলছ, মা, তুমি! সে তোমার চেয়ে অনেক অনেক গুণ বড়। মা-ব্যাঙটি তখন তার পেটটা ফুলিয়ে বলল, এই এ্যাত বড়? বাচ্চা ব্যাঙটি হো হো করে তাচ্ছিল্যের স্বরে হেসে বলল- হাসালে তুমি, মা, এ তার একশ ভাগের এক ভাগও না। মা-ব্যাঙটি তখন তার পেটটা আরও ফুলিয়ে বলল- _চেয়ে দ্যাখ এবার, এত বড় নিশ্চয়ই নয়! বাচ্চা ব্যাঙটি তখন হাসতে হাসতে বলল- মা, তুমি হাজার চেষ্টা করলেও তার মত বিরাট হতে প...

শেয়াল ও সিংহ

English translation below পশুদের রাজা সিংহ। যেমনি বিরাট তার চেহারা তেমনি তার গর্জন। তাকে দেখলে তাে বটেই, দূর থেকে তার গর্জন শুনলেই বনের পশুরা ভিরমি খেতে, প্রায় আধমরা হয়ে যেত। এক শেয়াল এমন এক বনে বাস করতাে যেখানে কোনাে সিংহ ছিল না। একদিন ক্ষিধের জ্বালায় অস্থির হয়ে শেয়াল ঘুরতে ঘুরতে এমন এক বনে এসে পড়লাে, যে বনে পশুরাজ সিংহ বাস করতো। শেয়াল তখন খাবারের খোঁজে ঐ বনে ঘুরছিল। এমন সময় একটু দূরে সিংহ ডেকে উঠল। সেই ডাক শােনামাত্র শেয়াল ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে মাটিতে বসে পড়লাে। একটু পরে সিংহ যখন তার সামনে হাজির তখন শেয়াল তার ভয়ংকর চেহারা দেখে ভয়ে অজ্ঞানই হয়ে গেল। এরপর শেয়াল আর একদিন সেই বনে এসে আবার সিংহের দেখা পেল। এবার ভয় যে তার না করলাে তা নয়, তবে আগের বারের মত অজ্ঞান আর হল না। বরং কিছুক্ষণ তার দিকে চেয়ে রইল হ্যা, বিরাট চেহারাই বটে, তবে আমারই মত পত্র ছাড়া। এ আর কিছুই তাে নয়। আমায় তাে সেদিন খেয়ে ফেলেনি এই ভেবে শেয়াল তাকে দেখে আর পালালাে না। এর পরের বার বনে এসে সিংহের সঙ্গে যখন তার দেখা হল—তখন তাকে দেখে ভয় যে তার একেবারেই করলাে না তা নয়—তবু বাইরে ভয়ের কিছু না দেখিয়ে তার সাম...

ভেড়ার পাল ও নেকেড়ে বাঘ

একদা এক মাঠে অনেকগুলি ভেড়া চরে বেড়াত । আর সেই ভেড়াদের পাহারা দিত কয়েকটা তেজী কুকুর । নেকড়েরা দূর থেকে দেখে কুকুরের ভয়ে আর তাদের কাছে আসতে সাহস পেত না। মনে মনে বড় ক্ষোভ তাদের । একদিন তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল-এ কুকুর ক'টাই আমাদের শত্রু, কোনোরকমে ওদের সরাতে পারলেই ব্যাস, আমাদের কেল্লা ফতে। কিন্তু কি করে সরানো যায়? সব সময়েই যে তারা ভেড়াগুলোর কাছে কাছে থাকে! নেকড়েদের যখন এইরকম মনের অবস্থা তখন কয়েকটা ভেড়াকে একান্তে পেয়ে বলল-ভাইরা, তোমরা আমাদের থেকে অমন দূরে দূরে থাক কেন বল তোঃ আমরা তো তোমাদের সঙ্গে ভাব করতেই চাই! পারি না, কেবল এ শত্রু কুকুর ক'টার জন্যে। ওরা আমাদের দেখলেই ঘেউ ঘেউ করে তেড়ে আসে । আর তা শুনলেই আমাদের দারুণ রাগ হয়ে যায়। ওদের বিদায় করে দাও ভাইরা, তাহলেই দেখবে তোমাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব গড়ে উঠবে। ভেবে দেখো, কাদের সঙ্গে তোমাদের বন্ধুত্ব রাখা লাভের-ওরা আর কয়টি! ভাল করে দেখো, আমাদের দল কতো বড়। আমাদের অনুরোধ তোমাদের জাত ভাইদের কাছে গিয়ে ভাল করে বুঝিয়ে বলো- দেখবে, বললেই তারা বুঝবে। বোকা ভেড়াগুলো, নেকড়েদের কথায় ভূলে কুকুরগুলোকে বিদায় করে দ...

একটি ইঁদুর সাপ এবং নেউলের গল্প

  একদা এক গর্তে একটি ইঁদুর থাকতাে। একদিন একটি নেউলে সেই গর্তের সামনে হাজির হল। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই কোথা থেকে যেন একটি সাপও সেখানে হাজির হলাে। তারা দুজনেই খাবারের সন্ধানে এসেছিল। কিন্তু দেখা গেল সাপে আর নেউলে লড়াই বেধে গেছে। তাদের কাররই আর ইদুরকে মারার কথা মনে রইল না। গর্তের ইঁদুর এদের যুদ্ধে ব্যস্ত দেখে তার গর্ত থেকে বেরিয়ে এল। অমনি সাপ আর নেউল লড়াই থামিয়ে নিজেদের ঝগড়া ভুলে দু’জনেই ইঁদুরটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। রাজনীতির ক্ষেত্রেও এরকমটা প্রায়ই দেখা যায়। বিরােধরত দুইদল যখন দেখে তাদের সাধারণ বিপক্ষ কোনও দল মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, তখন তারা নিজেদের বিবাদ ভুলে ঐ বিপক্ষ দলকে আক্রমণ করে। উপদেশ - জাতশত্রুরাও স্বার্থের জন্যে পরস্পরে জোট বাঁধে।  Once upon a time, there was a mouse in a hole. One day, a mole appeared in front of that hole. And at that very moment, a snake also appeared there from nowhere. Both of them came in search of food. But it turned out that the snake and the mole had a fight. Neither of them remembered to kill the mouse. Seeing them busy in the fight, the mouse ...

পশু ও মানুষ

 Below is the English translation. দেবতা জিউসের আদেশে প্রমিথিউস পৃথিবীতে পশু ও মানুষ দুই-ই সৃষ্টি করলেন। কিন্তু পশুর সংখ্যা বেড়ে গেল। দেবতা জিউস তখন প্রমিথিউসকে বললেন—পশুর সংখ্যা বড় বেশি হয়ে গেছে। এদের কিছু সংখ্যককে তুমি মানুষে পরিণত কর। দেবতা জিউসের কথামত প্রমিথিউস কিছু পশুকে মানুষ করে দিলেন। ফলে পশু থেকে মানুষ হল। আর তাদের চেহারা মানুষের মত হলেও প্রকৃতি ও আচার-আচরণ তাদের পশুর মতই রয়ে গেল। ফলে সেই সব পশু স্বভাবের মানুষ পৃথিবীতে একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াল। উপদেশ - পশু স্বভাবের মানুষের থেকে মানুষকে দূরে থাকতে হয়। On the orders of the god Zeus, Prometheus created both animals and humans on earth. But the number of animals increased. The god Zeus then said to Prometheus - the number of animals has become very large. You turn some of them into humans. According to the words of the god Zeus, Prometheus turned some animals into humans. As a result, animals became humans. And although their appearance was like humans, their nature and behavior remained like their animals. As a result, ...

এক মনে কাজ করতে হয়

Below is the English translation. একদা এক মাঠে একদল ভেড়া চরে বেড়াচ্ছিল। ভেড়ার পাল বিকেল হতেই বাড়ি ফেরার জন্যে এগিয়ে চলছিল । বেড়ার পাল অনেকটা এগিয়ে গেল কিন্তু একটা ভেড়ার ছানা পেছনে পড়ে গেল। একটা নেকড়ে বাঘ এই অবস্থায় ভেড়ার ছানাটিকে দেখতে পেয়ে নিঃশব্দে তার পিছু নিল। বাচ্চা ভেড়াটা নেকড়েটাকে দেখতে পেল । সে বলল-বুঝেছি তুমি আমাকে ধরে খেতে চাও, এই তোঃ কিন্তু একটা শর্ত আছে আমার । মরবার আগে আমি বাশির সুরের সঙ্গে নাচতে চাই । তাই আমার অনুরোধ, তুমি বাশি বাজাও আমি তালে তালে নাচি। তারপর- নেকড়ে ভেড়ার ছানার এই কথা শুনে বাঁশি বাজাতে লাগল আর তার সঙ্গে চললো বাচ্চা ভেড়াটার নাচ। আর সেই বাজনা আর নাচের আওয়াজ শুনে সেখানে একদল কুকুর এসে জুটল। নেকড়েকে দেখেই তারা তার দিকে ধাওয়া করল। নেকড়ে ছুটতে ছুটতে কোনোমতে কুকুরদের হাত থেকে বাচল। তারপর অনেক দূরে যখন কুকুরদের নাগালের বাইরে চলে এল তখন এক জায়গায় বসে বিশ্রাম করতে করতে ভাবতে লাগল, খুব শিক্ষা হল আমার, কেমন বুদ্ধর মত আমি শিকার করতে এসে বাশি বাজাতে গেছিলাম । উপদেশ - একমনে কাজ না করলে কাজ পন্ড হয় । বিপদও হতে পারে । Once upon a time, a group of she...

গোবরে গণেশ

  জিউসের মানুষ গড়া হয়ে গেল। হারমিস্কে জিউস বললেন এদের মগজে কিছু বুদ্ধি ঢোকাবার ব্যবস্থা কর । হারমিস তখন বুদ্ধি মাপার যন্ত্র নিয়ে, ক্ষুদ্রাকার মানুষের মগজে মেপে মেপে বুদ্ধি ঢালতে লাগলেন। ফলে মানুষরা হয়ে উঠল বুদ্ধিমান, জ্ঞানী। ঢালতে ঢালতে পাত্রটা যখন একেবারে শুন্য হয়ে গেল তখন বিশালাকায় কয়েকজন তখনও বাকি আছে। কিন্তু এখন কি হবে? বুদ্ধির পাত্র যে একেবারে শুন্য! তাই তাদের আর কিছুই দেওয়া সম্ভব হল না। তাই তারা বুদ্ধিহীন ও মূর্থ হয়ে রইল। দৈত্যরা তাই হল গোবর গণেশ। উপদেশ - চেহারা বিশাল হলেই যে বুদ্ধি বেশি হবে এ ধারণা একেবারেই ভুল। Zeus's people were created. Zeus told Hermes to make arrangements to inject some intelligence into their brains. Hermes then took an intelligence measuring device and started pouring intelligence into the brains of small people. As a result, people became intelligent and wise. When the pot was completely empty, a few giants were still left. But what will happen now? The pot of intelligence is completely empty! So it was not possible to give them anything els...