পোস্টগুলি

মে, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পুরনো বাড়ির আলো”

 গল্পের নাম: “পুরনো বাড়ির আলো” রায়হান আর ওমর ছিল গাঁয়ের দুই বন্ধু। গ্রামের একপাশে ছিল একটা পুরনো, পরিত্যক্ত বাড়ি। লোকমুখে শোনা যেত, ওই বাড়িতে নাকি রাত হলেই আলো জ্বলে ওঠে, আর কেউ ঢুকতে গেলেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। এক রাতে সাহস করে ওমর বলল, — “চল রায়হান, আজ রাতেই দেখে আসি আলোটা সত্যি জ্বলে কিনা!” রায়হান একটু ভয় পেলেও রাজি হয়ে গেল। রাত ১২টায় দুজন টর্চ হাতে বেরোল। বাড়ির দরজা খোলা, যেন তাদেরই অপেক্ষায় ছিল। তারা ভেতরে ঢুকে দেখে দেয়ালে ধুলা, জাল, আর ভাঙা ফার্নিচারে ভরা ঘর। হঠাৎ, ওপরতলার একটা ঘর থেকে আলো জ্বলে উঠল! ওমর আস্তে করে বলল, — “তুই দেখলি?” রায়হান মাথা নাড়ল। — “চল দেখি…” তারা ধীরে ধীরে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে লাগল। আলো আসছিল একটা বন্ধ ঘরের ফাঁক দিয়ে। ওমর দরজাটা ঠেলতেই সেটা নিজে থেকেই খুলে গেল। ঘরের মাঝখানে ছিল একটা পুরনো আয়না, আর আয়নার সামনে একটা চেয়ার। আলোটা আসছিল ঠিক আয়নার ভিতর থেকে! তারা দেখতে পেল, আয়নায় তাদের প্রতিবিম্ব নেই। হঠাৎ দরজা বন্ধ হয়ে গেল নিজে থেকেই। আর আয়নায় ভেসে উঠল একটা ধোঁয়াটে মুখ— — “অনধিকার প্রবেশকারীর স্থান এখানেই শেষ…” আর সকালে গ্রামবাসীরা সেই পুরনো বাড়ির সা...

বুদ্ধিমান খরগোশ

 গল্পের নাম: বুদ্ধিমান খরগোশ একদিন এক জঙ্গলে থাকত একটি ছোট খরগোশ, নাম তার ঝপঝপ। সে খুবই চঞ্চল, কিন্তু অনেক বুদ্ধিমান। জঙ্গলের অন্য প্রাণীরা মাঝে মাঝে বলত, “তুই তো ছোট, তোর বুদ্ধি দিয়ে কী হবে?” একদিন জঙ্গলে এল এক ভয়ঙ্কর বাঘ। সে বলল, “আমি প্রতিদিন একট করে প্রাণী খাবো, না হলে পুরো জঙ্গল ধ্বংস করে দেবো!” সবাই ভয় পেয়ে গেল। সবাই বলল, “আমরা কী করব এখন?” ঝপঝপ তখন বলল, “আমাকে একদিন সময় দাও। আমি বাঘকে বোকা বানিয়ে তাড়িয়ে দেবো।” পরের দিন ঝপঝপ গেল বাঘের কাছে আর বলল, “বাঘ মামা, আমি আসতে দেরি করেছি কারণ আরেকটা বাঘ বলছিল এই জঙ্গল তার!” বাঘ চটে গেল! সে বলল, “কোথায় সেই বাঘ? নিয়ে চলো আমাকে!” ঝপঝপ তাকে একটা কুয়োর কাছে নিয়ে গেল, যেখানে পানি খুব পরিষ্কার ছিল। বাঘ নিচে তাকাতেই নিজের ছায়া দেখে ভাবল, “এই তো সেই বাঘ!” সে রেগে লাফ দিয়ে কুয়োয় পড়ে গেল। সবাই খুশি হয়ে ঝপঝপকে বলল, “তুই তো আমাদের বাঁচিয়ে দিলি!” ঝপঝপ হাসল আর বলল, “বুদ্ধি যদি ঠিকমতো ব্যবহার করো, তাহলে বড় কেউকেও হারানো যায়।” Story Name: Smart Rabbit Once upon a time, there lived a little rabbit in a forest, his name was Jhapjhap. He was very restless...

বিভীষণ কে? বিভীষণ কেন ঘরের শত্রু?

বিভীষণ কে? বিভীষণ কেন ঘরের শত্রু? এই বাগধারাটি বাংলায় এসেছে হিন্দু পুরাণ “রামায়ণ” থেকে। হিন্দু পুরাণ রামায়ণের একটি চরিত্র বিভীষণ ৷  বিভীষণ(Vibhishana) ছিলেন বিশ্রবা মুনি ও কৈকেশী-র সন্তান এবং রাক্ষসরাজ রাবণের ছোট ভাই। বিশ্রবা মুনি ও কৈকেশী-র তিন ছেলে হলেন রাবণ, কুম্ভকর্ণ ও বিভীষণ। তাদের একটি ছোট বোনও ছিল, নাম তার শূর্পনখা। তাদের মা কৈকেশী ছিলেন সুমালী রাক্ষসের মেয়ে। কৈকেশীর আরেক নাম নিকষা। সুমালী নিজে তার মেয়ে কৈকেশীকে বিশ্রবা মুনির কাছে পাঠিয়েছিল। কারণটি অবশ্য তেমন মহৎ কিছু ছিল না । এখন একটু পেছনের দিকের কাহিনীতে যাওয়া যাক… সুমালীরা ছিল তিন ভাই। মাল্যবান, সুমালী ও মালী। তিনজন মিলে একবার সুমেরু পর্বতে কঠোর তপস্যা শুরু করে দেয়। তাদের সে তপস্যায় সন্তুষ্ট হন ব্রক্ষ্মা। খুশি হয়ে তিনি তিন ভাইকে তিনটি বর দেন- তারা হবে অজেয়, শত্রুহন্তা ও চিরজীবী। বর পাওয়ার খুশিতে তারা সমস্ত জগত জুড়ে মারাত্মক উৎপাত শুরু করে। ধীরে ধীরে তাদের উপর বিরক্ত হয়ে ওঠে জনপদের প্রায় সবাই। শেষে অতিষ্ঠ হয়ে দেবতা আর ঋষিরা মিলে বিষ্ণুর কাছে গিয়ে এর প্রতিকার চান। বিষ্ণু তখন তিন ভাইকে দমন করতে এগিয়ে আসেন।...

টিপু আর ম্যাজিকের কলম"

 গল্পের নাম: "টিপু আর ম্যাজিকের কলম" একদিন টিপু স্কুল থেকে ফিরে খুব মন খারাপ করল। তার বাংলা খাতায় আবারো ভুলভাল লেখা হয়েছে। টিচার বলেছে, “লেখা পরিষ্কার করো, না হলে নম্বর কাটা যাবে।” টিপু দুঃখ করে টেবিলের ড্রয়ার খুলে খুঁজতে লাগল একটা ভালো কলম। হঠাৎ সে খুঁজে পেল একটা চকচকে নীল রঙের কলম — আগে কখনো দেখেনি। কলমটা হাতে নিতেই সেটা ঝিকিমিকি করে উঠল। হঠাৎ একটা কণ্ঠস্বর শোনা গেল, "আমি ম্যাজিক কলম! শুধু ঠিক কথা লিখবি, মিথ্যা লিখলেই আমি খাতা থেকে লাফ দিয়ে চলে যাবো!" টিপু তো অবাক! সে কলম দিয়ে লেখে, “আমি কাল পড়া করিনি।” কলমটা ধপ করে ছিটকে পড়ে গেল। তারপর সে লিখল, “আমি আজকে ভালোভাবে পড়বো।” কলমটা খুশি হয়ে নিজে নিজে লিখে দিল, “তুমি পারবে!” এভাবে টিপুর সব লেখা সুন্দর হতে লাগল, আর সে ধীরে ধীরে লেখালেখি পছন্দ করতে শুরু করল। শেষে ম্যাজিক কলম বলল, “তুই এখন নিজেই ম্যাজিক হয়ে গেছিস — মন দিয়ে চেষ্টা করলেই সব সম্ভব!” শিক্ষা: সততা আর চেষ্টা করলে, ম্যাজিক না হলেও আমরা অনেক কিছু করতে পারি। Story name: "Tipu and the Magic Pen" One day, Tipu came back from school feeling very upset. His B...

রহস্যময় বইয়ের ঘর

 গল্পের নাম: “রহস্যময় বইয়ের ঘর” একদিন সকালে, তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রা তিশা স্কুল লাইব্রেরিতে নতুন একটা বই খুঁজছিল। হঠাৎ সে দেখতে পেল এক পুরোনো, ধুলো জমে থাকা বই যার নাম ছিল “জ্ঞান-ভবনের চাবি”। তিশা বইটি খুলতেই চোখ ধাঁধানো আলোয় সে হারিয়ে গেল এক জাদুকরী জগতে—যেখানে প্রতিটি ঘর একটি বিষয়ে বিশেষ! গণিতের ঘরে সংখ্যারা কথা বলে, বিজ্ঞানের ঘরে তড়িৎ আর চুম্বক খেলা করে, আর বাংলার ঘরে ছড়া ও গল্পেরা নাচে। কিন্তু তিশা তখনই বাড়ি ফিরতে পারবে, যদি সে তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে—একটি প্রতিটি ঘর থেকে। সে মনোযোগ দিয়ে শোনে, দেখে ও শেখে। শেষ পর্যন্ত সে তিনটি সঠিক উত্তর দেয়, আর বইয়ের আলো তাকে আবার লাইব্রেরিতে ফিরিয়ে দেয়। সেদিন থেকে তিশা বুঝে যায়, পড়াশোনা শুধু বোঝার জন্য নয়—এটা এক জাদু, যা জানার দরজা খুলে দেয়। --- মূল শিক্ষা: জ্ঞান অর্জন মানে কেবল বই পড়া নয়, কল্পনা আর অনুসন্ধানের মাধ্যমে শেখা। ভালো করে মনোযোগ দিলে যেকোনো বিষয়কেই মজার ও সহজভাবে শেখা যায়। Story Name: “Mysterious Book Room” One morning, third-grade student Tisha was looking for a new book in the school library. Suddenly, sh...

চালাক ছাত্র

 গল্প: "চালাক ছাত্র" একদিন ক্লাসে শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন: — বলো তো, ‘অসৎ’ শব্দের বিপরীত শব্দ কী? ছাত্র উত্তর দিল: — সৎ-এর বিপরীত শব্দ হলো ‘অসৎ’, স্যার। শিক্ষক হাসতে হাসতে বললেন: — বাহ! খুব ভালো। এবার বলো, তুমি কী? ছাত্র সঙ্গে সঙ্গে বলল: — আমি তো স্যারের বিপরীত! শিক্ষক কিছুক্ষণ ভাবলেন, তারপর বললেন: — মানে? ছাত্র মুচকি হেসে বলল: — আপনি শিক্ষক, আমি ছাত্র! Story: "The Clever Student" One day in class, the teacher asked: — Tell me, what is the opposite of the word 'honest'? The student replied: — The opposite of honest is 'honest', sir. The teacher said with a smile: — Wow! Very good. Now tell me, what are you? The student immediately said: — I am the opposite of sir! The teacher thought for a while, then said: — What do you mean? The student smiled and said: — You are the teacher, I am the student!

নিশির ডাক – একটি নতুন ভৌতিক গল্প

 নিশির ডাক – একটি নতুন ভৌতিক গল্প এক সন্ধ্যায়, ছোট্ট গ্রাম চণ্ডীপুরে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। অন্ধকারে মোড়া পুরো গ্রাম নিস্তব্ধ। গ্রামের এক প্রান্তে পুরোনো একটি বাড়ি, যার চারপাশে ঝোপঝাড় আর বড় বড় গাছ। গ্রামের মানুষ বলে, ওই বাড়িতে রাতে “নিশির ডাক” শোনা যায়। তিন বন্ধু – আরিফ, তৃষা আর সজল – ঠিক করে, তারা সত্যটা খুঁজে বের করবে। টর্চ আর মোবাইল হাতে তারা বাড়ির দিকে রওনা দেয়। বাড়ির ভেতরে ঢুকে তারা দেখে, ধুলা-মাকড়ে ভরা ঘরগুলো যেন শত বছরের পুরনো। হঠাৎ করেই এক নারীকণ্ঠে ডাক আসে, “আরিফ... আরিফ...” তারা চমকে ওঠে। শব্দটা আসে উপরের তলা থেকে। সাহস করে তারা ওপরে ওঠে। হঠাৎ দরজা বন্ধ হয়ে যায়, বাতি নিভে যায়। ভয়ে সজল কাঁপতে থাকে, কিন্তু তৃষা বলে, “কেউ ভয় পেয়ো না, কিছু একটা রহস্য আছে এখানে।” তারা খুঁজতে খুঁজতে পায় একটা পুরোনো চিঠি। তাতে লেখা – “আমার ছেলে হারিয়ে গেছে, যদি কেউ এই চিঠি পায়, তাকে বলো, আমি এখনও অপেক্ষা করছি... – নিশি।” পরে জানা যায়, নিশি ছিলেন এই বাড়ির বাসিন্দা, যার ছেলে ছোটবেলায় হারিয়ে যায়। তার আত্মা এখনও অপেক্ষা করে যায়, প্রতি রাতে ছেলেকে খুঁজে ডাকে... গল্পটি সত্য, না কল্পনা? কেউ জানে না। তব...

পুরানো লাইব্রেরির রহস্য"

গল্পের নাম"পুরানো লাইব্রেরির রহস্য" রাতের অন্ধকার নামার আগেই গ্রামের সবাই বাড়ি ফিরে আসে। কারণ গ্রামের এক কোণে আছে একটি পুরানো লাইব্রেরি, যেখানে নাকি রাতে অদ্ভুত শব্দ শোনা যায়! তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র তুহিন খুব সাহসী ছেলে। সে ভূত নিয়ে ভয় পায় না। একদিন সে ঠিক করল, সে ওই পুরানো লাইব্রেরির রহস্য খুঁজে বের করবে। বন্ধু রিমিকেও সঙ্গে নিল। রাত ৮টার দিকে দুই বন্ধু চুপিচুপি লাইব্রেরির দিকে এগোলো। চারদিকে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, হালকা বাতাসে গাছের পাতার সরসর শব্দ—সব মিলিয়ে পরিবেশটা বেশ ভৌতিক! তারা জানালার ফাঁক দিয়ে দেখল, ভিতরে আলো জ্বলছে! আর কেউ একজন বইয়ের তাকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে! তুহিন আর রিমি সাহস করে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকল। তখনই "থ্যাংক ইউ!" বলে একটা গলা শোনা গেল। তারা অবাক! সামনে দাঁড়িয়ে এক বুড়ো মানুষ, চোখে মোটা চশমা। তিনি বললেন, "আমি এই লাইব্রেরির প্রাক্তন লাইব্রেরিয়ান। আমি মারা গেছি বহু বছর আগে। কিন্তু আমার প্রিয় বইগুলো ছাড়া থাকতে পারি না, তাই মাঝেমাঝে দেখতে আসি!" তুহিন ভয়ে কাঁপছিল, কিন্তু ভূতটা বলল, "ভয় পেয়ো না। আমি কাউকে কোনো ক্ষতি করি না। বরং চাই, তোমরা সবাই আবার...

মহাবীর পিঁপড়ে

গল্পের নাম: "মহাবীর পিঁপড়ে" এক ছিলো ছোট্ট এক পিঁপড়ে। তার নাম ছিলো টিকু। টিকু ছিলো অন্য সবার থেকে একটু আলাদা—সে সব সময় নতুন কিছু শিখতে চাইতো। একদিন টিকু তার দল থেকে একটু দূরে চলে গেলো। হঠাৎ তার সামনে একটা বড় দেয়াল পড়ে গেলো। দেয়ালটা ওর খাবার খোঁজার পথ আটকে দিচ্ছিলো। সব পিঁপড়েরা বললো, “ফিরে চল টিকু, এটা পার হওয়া অসম্ভব!” কিন্তু টিকু হাল ছাড়লো না। সে চিন্তা করলো, “আমি যদি উপরে উঠতে না পারি, তাহলে নিচ দিয়ে চেষ্টা করবো।” টিকু মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে একটা ছোট সুড়ঙ্গ বানাতে শুরু করলো। অনেক সময় লাগলো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে পারে দেয়ালের নিচ দিয়ে পার হতে। সব পিঁপড়ে অবাক হয়ে গেলো। সবাই বললো, “টিকু, তুই তো সত্যিই মহাবীর!” সেই দিন থেকে, টিকু শুধু বুদ্ধিমানই নয়, সাহসী পিঁপড়ে হিসেবেও পরিচিত হলো। গল্পের শিক্ষা: চেষ্টার কোনো বিকল্প নেই। হাল না ছেড়ে পথ খুঁজে নিলে যেকোনো বাধা পার হওয়া সম্ভব। Story name: "The Great Ant" There was a little ant. His name was Tiku. Tiku was a little different from everyone else—he always wanted to learn something new. One day, Tiku went a little far from his grou...

বুদ্ধিমান কাক

 বুদ্ধিমান কাক একদিন গ্রীষ্মকালে এক কাক খুব পিপাসায় কষ্ট পাচ্ছিল। সে আকাশে উড়ে উড়ে পানি খুঁজছিল, কিন্তু কোথাও পানি পাচ্ছিল না। হঠাৎ সে একটি মাঠে একটি কলসি দেখতে পেল। কাকটি উড়ে এসে দেখল কলসির তলায় একটু পানি আছে, কিন্তু তার ঠোঁট সেখানে পৌঁছাচ্ছে না। কাকটি হতাশ না হয়ে চারপাশে খুঁজতে লাগল। সে অনেকগুলো ছোট পাথর কুড়িয়ে এনে এক এক করে কলসির মধ্যে ফেলতে লাগল। ধীরে ধীরে পানি উপরে উঠে এল। কাকটি খুশিতে কলসির পানি খেয়ে নিজের পিপাসা মেটাল। শিক্ষা: বুদ্ধি ও ধৈর্য থাকলে যেকোনো সমস্যা সমাধান করা যায়। The Intelligent Crow One day in the summer, a crow was very thirsty. He flew in the sky looking for water, but he could not find any water anywhere. Suddenly he saw a pitcher in a field. The crow flew and saw that there was some water at the bottom of the pitcher, but his beak could not reach it. The crow did not get discouraged and started looking around. He picked up many small stones and started throwing them into the pitcher one by one. Slowly the water rose to the top. The crow happily dran...

শিয়াল আর কাকের বুদ্ধি

 শিয়াল আর কাকের বুদ্ধি একদিন একটি কাক একটি রুটি নিয়ে গাছে বসে ছিল। রুটিটা সে কুড়িয়ে পেয়েছিল এবং এখন নিশ্চিন্তে বসে সেটা খাচ্ছিল। হঠাৎ, এক চতুর শিয়াল সেখানে এল। শিয়ালটি রুটির লোভে পড়ে কাককে বলল, — "অরে কাক ভাই! তুমি যে কী সুন্দর! তোমার গলার আওয়াজও নিশ্চয় খুব মিষ্টি। একটু গান শোনাও না!" কাক গর্বে গগন চুম্বী হয়ে গান গাইতে গেল। মুখ খুলতেই রুটি পড়ে গেল নিচে। শিয়াল লাফিয়ে রুটিটা নিয়ে নিল আর বলল, — "ধন্যবাদ, ভাই কাক। এখন বুঝলাম, তোমার গলা না থাকলেও, রুটি কিন্তু আমার!" শিক্ষা: বেশি প্রশংসায় ভেসে গেলে ঠকতে হতে পারে! The Wisdom of the Fox and the Crow One day, a crow was sitting on a tree with a loaf of bread. He had picked up the bread and was now sitting there peacefully eating it. Suddenly, a clever fox came there. The fox, greedy for the bread, said to the crow, — "Oh, brother crow! How beautiful you are! Your voice must be very sweet. Don't make me sing!" The crow was so proud that he started singing. As soon as he opened his mouth, the bread ...

জাদুর ফুল ও সাহসী রাজকুমারী

  গল্পের নাম: "জাদুর ফুল ও সাহসী রাজকুমারী" এক দেশে ছিল এক ছোট রাজ্য। রাজ্যটি ছিল খুবই সুন্দর, কিন্তু সেখানে একসময় খরা দেখা দেয়। গাছপালা শুকিয়ে যায়, পুকুর-নদী শুকিয়ে যায়। রাজা বীরেন্দ্র ও রানী মায়ার খুব দুঃখ লাগল। তারা চাইলো কোনোভাবে রাজ্যটিকে রক্ষা করতে। তাদের মেয়ে, রাজকুমারী রিনি, ছিল খুব বুদ্ধিমতী ও সাহসী। সে শুনেছিল এক জাদুকরী ফুলের কথা, যা ‘চিরসবুজ ফুল’ নামে পরিচিত। যদি সেই ফুল রাজ্যে আনা যায়, তবে রাজ্য আবার সবুজ হয়ে উঠবে। এক রাতে, পরী রূপসা স্বপ্নে এসে রিনিকে বলল, “তুমি যদি সত্যিকারের সাহস দেখাও, আমি তোমায় সাহায্য করব।” রিনি সকালে উঠেই রওনা দিল পাহাড়ের ওপারে, যেখানে ফুলটি থাকে। পথে তাকে পার হতে হয় জাদুর জঙ্গল, যেখানে গাছেরা কথা বলে এবং ধাঁধা জিজ্ঞেস করে। রিনি সব ধাঁধার উত্তর দেয় এবং সাহসিকতার জন্য জাদুর রত্ন পায়, যা তাকে ফুল পর্যন্ত পৌঁছাতে সাহায্য করে। সেখানে সে ফুলটি পায়, কিন্তু পাহারা দিচ্ছিল এক জাদু ড্রাগন। রিনি ড্রাগনকে ভয় না পেয়ে বলল, “আমি রাজ্য বাঁচাতে এসেছি, তোমার কিছু নষ্ট করব না।” ড্রাগন খুশি হয়ে ফুলটা তাকে দিয়ে দিল। রিনি রাজ্যে ফিরে এলে, পরী রূপসা আবার এসে ফু...

সত্যের পুরস্কার

 গল্পের নাম: "সত্যের পুরস্কার" এক গ্রামে থাকত একটি ছেলে, নাম ছিল রাহুল। রাহুল খুব দুষ্টু ছিল, তবে মিথ্যা বলা তার সবচেয়ে বড় অভ্যাস ছিল। সে প্রায়ই গরু চুরি হয়েছে বলে গ্রামের লোকদের ডেকে আনত, অথচ পরে হাসত আর বলত, “মজা করছিলাম!” গ্রামের লোকেরা বিরক্ত হয়ে পড়েছিল। তারা ভাবল, “এই ছেলেটা তো সবসময় মিথ্যা বলে।” একদিন সত্যি সত্যিই একটি বাঘ এল গ্রামের পাশের জঙ্গলে। রাহুল ভয়ে চিৎকার করতে লাগল, “বাঘ এসেছে! বাঁচাও!” কিন্তু কেউ এল না। সবাই ভাবল, “আবার নিশ্চয়ই মিথ্যা বলছে।” বাঘটি তার গরু নিয়ে চলে গেল। রাহুল কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরল। এরপর সে প্রতিজ্ঞা করল, জীবনে আর কখনো মিথ্যা বলবে না। সেই ঘটনার পর থেকে রাহুল সৎ হয়ে উঠল। ধীরে ধীরে সবাই আবার তার ওপর বিশ্বাস করতে শুরু করল। English Story Name: "The Reward of Truth" There lived a boy in a village, his name was Rahul. Rahul was very naughty, but his biggest habit was lying. He often called the villagers because a cow had been stolen, but later he would laugh and say, "I was just kidding!" The villagers were annoyed. T...